টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সিলেটে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি। ইতোমধ্যে সিলেট নগরীসহ অনেক উপজেলা পানিতে পুরোপুরি প্লাবিত। পানি বাড়তে থাকায় নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে।

আজ শনিবার (১৮ই জুন) সকালে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, সদর উপজেলাসহ আরও অনেক জায়গায় পানি বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, সোমবারের (২০শে জুন) আগে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই। এভাবে টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পানি স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।

এখনো অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধারে এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার থেকে বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আজ শনিবার থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন বলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর ৩৫ জনের একটি ডুবুরিদল কাজ শুরু করেছে। বিকেলে ৬০ জনের আরেকটি দল সিলেটে আসবে। কোস্ট গার্ডের দুটি ক্রুজ দুপুরের পর আসবে। একটি সুনামগঞ্জ যাবে এবং একটি সিলেটে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হবে। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ‘রেসকিউ বোট’ দিয়ে গ্রামে গ্রামে পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ছয়টার দিকে সিলেটের প্রধান নদী সুরমার কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছিল।

সরেজমিন দেখা গেছে, সিলেট নগরের ২৫ থেকে ৩০টি এলাকায় হু হু করে পানি বাড়ছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি এলাকায়। বাসাবাড়িতে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি। এদিকে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায়ও পানি বেড়ে চলছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।